ICC Prosecutor, Fatou Bensouda, requests judicial authorisation to commence an investigation into the situation in Bangladesh/Myanmar
Today, the Prosecutor of the International Criminal Court ("ICC" or the "Court") requested the Court's Judges to authorise an investigation into alleged crimes against humanity, namely deportation, other inhumane acts and persecution committed against the Rohingya people from Myanmar.
More specifically, the request seeks authorisation from the Court's Judges to open an investigation into alleged crimes within the jurisdiction of the Court in which at least one element occurred on the territory of Bangladesh – a State Party to the Rome Statute – and within the context of two recent waves of violence in Rakhine State on the territory of Myanmar, as well as any other crimes which are sufficiently linked to these events.
The requested authorisation to investigate the situation covers the period since the 9th of October 2016.
The Prosecutor's request follows her Office's thorough preliminary examination which, in its assessment, concluded that the legal conditions required under the Rome Statute to open an investigation have been met.
It may be recalled that on the 9th of April last year, the Prosecutor filed a request with the Court's judges for a legal ruling on the question of jurisdiction over the alleged deportation of the Rohingya people from Myanmar to Bangladesh.
The second phase of the preliminary examination of this situation started last September, following the Judges' ruling in response to that request, which confirmed that the Court may assert jurisdiction pursuant to article 12(2)(a) of the Statute, "if at least one element of a crime within the jurisdiction of the Court or part of such a crime is committed on the territory of a State Party to the Statute."
Following the Office's preliminary examination process, the Prosecutor has determined that there is a reasonable basis to believe that at least 700,000 Rohingya people were deported from Myanmar to Bangladesh through a range of coercive acts and that great suffering or serious injury has been inflicted on the Rohingya through violating their right to return to their State of origin.
More specifically, the information available provides a reasonable basis to believe that, in the context of the 2017 wave of violence, the following crimes were committed, in part on the territory of Myanmar and in part on the territory of Bangladesh.
Deportation under article 7(1) (d) of the Statute. Although the coercive acts forcing the Rohingya population to flee took place on the territory of Myanmar, the victims crossed the border—an essential element for the crime of deportation—by entering into the territory of Bangladesh;
Other inhumane acts under article 7(1)(k) of the Statute, namely, the infliction of great suffering or serious injury by means of intentional and severe violations of the customary international law right of displaced persons to return safely and humanely to the State of origin with which they have a sufficiently close connection;
Persecution on ethnic and/or religious grounds under article 7(1)(h) of the Statute by means of deportation and intentional and severe deprivation of the customary international law right to return.
This is without prejudice to other possible crimes within the jurisdiction of the Court which may be identified during the course of any authorised investigation.
As Myanmar is not a State Party to the Rome Statute, but Bangladesh is, it is important to bear in mind that the authorisation to investigate, if granted by the Judges, would not extend to all crimes potentially committed in Myanmar, but will focus on crimes allegedly committed in part on the territory of Bangladesh.
Investigating deportation will, however, mean taking a close look at the alleged violence that left the Rohingya no genuine choice but to flee Myanmar.
The Office of the Prosecutor has carefully assessed available information on relevant national proceedings. In light of the gravity of the acts committed - the details of which are outlined in the Request - and the absence of relevant national investigations or prosecutions in Myanmar or in relevant third States, against those who appear to be most responsible for the most serious crimes within this Situation, the Prosecutor considers that the potential cases that her Office has identified as likely to be the focus of an investigation in this Situation, would be admissible pursuant to articles 53(1)(b) and 17(1) (a) and (b) of the Statute.
Furthermore, the Prosecutor has determined that there are no substantial reasons to believe that the opening of an investigation would not serve the interests of justice, taking into account the gravity of the crimes and the interests of victims.
Should the Prosecutor's request be granted, as with all situations under investigation by her Office, that work will be undertaken independently and impartially in the strict service of our mandate under the founding Statute of the Court, and with respect for the principle of complementarity as enshrined in that Statute.
Today, as per the applicable rules, the Prosecutor also notified victims or their legal representatives, of her intention to request authorisation to initiate an investigation in the Situation in Bangladesh/Myanmar informing them that they have until 28 October 2019 to submit representations to the Judges of Pre-Trial Chamber III on her Request.
The Office of the Prosecutor of the ICC conducts independent and impartial preliminary examinations, investigations and prosecutions of the crime of genocide, crimes against humanity, war crimes and the crime of aggression. Since 2003, the Office has been conducting investigations in multiple situations within the ICC's jurisdiction, namely in Uganda; the Democratic Republic of the Congo; Darfur, Sudan; the Central African Republic (two distinct situations); Kenya; Libya; Côte d'Ivoire; Mali; Georgia and Burundi. The Office is also currently conducting preliminary examinations relating to the situations in Colombia; Guinea; Iraq/UK; Palestine; the Philippines; Nigeria; Ukraine, and Venezuela.
আজ, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের ("আইসিসি" বা "কোর্ট") অভিশংসক আদালতের বিচারপতিদেরকে কথিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্ত করা অনুমোদনের অনুরোধ করেন, যেমন মিয়ানমার হতে রোহিঙ্গা জনগণের নির্বাসন, ও তাঁদের বিরুদ্ধে কৃত অন্যান্য অমানুষিক কাজকর্ম ও অত্যাচার।
অডিও এবং ভিডিও
আরো নির্দিষ্টভাবে, অনুরোধটি আদালতের বিচারপতিদের কাছে আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে কথিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধগুলির অন্তত একটি অংশ যা বাংলাদেশের এলাকায় ঘটেছে – যে রোম সংবিধির অন্তর্গত রাষ্ট্র – তার এবং সম্প্রতি ঘটিত মিয়ানমারের অঞ্চলভূক্ত রাখাইন ষ্টেটে দুইটি হিংস্রতার ঢেউ প্রসঙ্গে, এবং পাশাপাশি এই সব ঘটনার সঙ্গে যথেষ্টভাবে জড়িত ঘটনাগুলির তদন্ত শুরু করার অনুমোদন চায়।
৯ অক্টোবর ২০১৬ থেকে শুরু করে অন্তর্গত সময়কাল অনুরূদ্ধ তদন্তের অন্তর্ভুক্ত।
অভিশংসকের এই অনুরোধ তাঁর অফিসের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রাথমিক পরীক্ষার পরবর্তী কাজ যা, আমাদের মূল্যায়নে, রোম সংবিধির অধীনে প্রয়োজনীয় তদন্ত শুরু করার আইনী শর্তগুলি পূরণ করেছে।
স্মরণ থাকতে পারে যে গত বছরের ৯ই এপ্রিল, অভিশংসক আদালতের বিচারপতিদের কাছে রোহিঙ্গা জনগণের মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে কথিত নির্বাসনের বিষয়ে এক্তিয়ারের প্রশ্নের উপর আইনী বিনির্দেশের জন্য একটি অনুরোধ নথিবদ্ধ করেছিলেন।
বিচারপতিদের উক্ত অনুরোধের জবাবে দেয়া বিনির্দেশের অনুক্রমে এই পরিস্থিতির প্রাথমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায় গত সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল, যা নিশ্চিত করে যে আদালত সংবিধির ১২(২)(ক) ধারার অনুবর্তিতায় এক্তিয়ার জাহির করতে পারে, "যদি আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত অপরাধের অন্তত একটি উপাদান বা তেমন অপরাধের অংশবিশেষ সংবিধির অন্তর্গত রাষ্ট্রের এলাকায় ঘটে থাকে।"
অফিসের প্রাথমিক পরীক্ষা প্রক্রিয়ার পর, অভিশংসক নির্ধারণ করেন যে ৭০০,০০০ রোহিঙ্গা জনগণকে যে নানারূপ জোরজবরদস্তিমূলক কাজের মাধ্যমে এবং রোহিঙ্গাদেরকে দারুণ দুঃখভোগ বা গুরুতর জখম ঘটিয়ে তাঁদের মূল দেশে ফেরার অধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নির্বাসন করা হয়েছে তা বিশ্বাস করার যথাসংগত ভিত্তি বিদ্যমান।
আরো নির্দিষ্টভাবে, পর্যালোচিত তথ্য বিশ্বাস করার যথাসংগত ভিত্তি যোগায় যে, ২০১৭ সালের হিংস্রতার ঢেউ প্রসঙ্গে, নিচের অপরাধগুলি সংঘটিত হয়েছিল, অংশত মিয়ানমারের অঞ্চলে এবং অংশত বাংলাদেশের অঞ্চলে।
নির্বাসন সংবিধির ৭(১)(ঘ) ধারা মোতাবেক। যদিও পালিয়ে যেতে বাধ্য করার মত জোরজবরদস্তিমূলক কাজকর্ম মিয়ানমারের অঞ্চলে ঘটে, শিকারগণ সীমানা অতিক্রম করে – নির্বাসন অপরাধের একটি আবশ্যিক উপাদান – বাংলাদেশের অঞ্চলে প্রবেশ করে;
অন্যান্য অমানুষিক কাজকর্ম সংবিধির ৭(১)(ট) ধারা মোতাবেক, যেমন, প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইনের ইচ্ছাকৃত এবং গুরুতর লঙ্ঘনের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপদে ও মানবিকভাবে তাঁদের মূল রাষ্ট্রে যেখানে তাঁদের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে সেখানে ফেরার অধিকার খর্ব করে দারুণ দুঃখভোগ করানো বা গুরুতর জখম ঘটানো;
অত্যাচার জাতিগত এবং/অথবা ধর্ম ভিত্তিক সংবিধির ৭(১)(জ) ধারা মোতাবেক, নির্বাসন করা এবং প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইনে প্রত্যাবর্তনের অধিকারের ইচ্ছাকৃত ও গুরুতর বঞ্চনা।
এটা আদালতের এক্তিয়ারের অন্তর্গত অন্যান্য সম্ভাব্য অপরাধের যা কোন অনুমোদিত তদন্ত করার সময় ধরা পড়তে পারে তার প্রতি পক্ষপাত ব্যতিরেকে।
যেহেতু মিয়ানমার রোম সংবিধির অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্র নয়, কিন্তু বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে তদন্তের অনুমোদন, যদি বিচারপতিগণ মঞ্জুর করেন, মিয়ানমারে সংঘটিত সম্ভাব্য সব অপরাধের প্রতি প্রসারিত করা হবে না, কিন্তু বাংলাদেশের অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘটিত অপরাধগুলির অংশবিশেষের উপর দৃষ্টি কেন্দ্রীভুত হবে।
যাহোক, নির্বাসনের তদন্ত করা বলতে বুঝাবে সম্ভাব্য হিংস্রতার উপর ঘনিষ্ঠ দৃষ্টিপাত করা যার জন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে পালানো ছাড়া অন্য কোন যথার্থ উপায় ছিল না।
অভিশংসকের অফিস সতর্কতার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক জাতীয় কার্যধারার প্রাপ্ত তথ্যের মূল্যায়ন করেছে। সংঘটিত কাজকর্মের গুরুত্বের আলোকে – যার বিস্তারিত বিবরণ অনুরোধের রূপরেখায় দেয়া হয়েছে – এবং মিয়ানমারে বা কোন তৃতীয় প্রাসঙ্গিক রাষ্ট্রে, পরিস্থিতির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের জন্য যাদেরকে সর্বাধিক দায়ী মনে করা হয় তাদের বিরুদ্ধে প্রাসঙ্গিক জাতীয় তদন্ত বা অভিযুক্ত করার অনুপস্থিতিতে, অভিশংসক মনে করেন যে সম্ভাব্য ঘটনাগুলি যার উপর এই পরিস্থিতির তদন্ত কেন্দ্রীভুত হতে পারে বলে তাঁর অফিস নির্ধারণ করেছে, তা সংবিধির ৫৩(১)(খ) এবং ১৭(১)(ক) এবং (খ) ধারার অনুবর্তিতায় গ্রহণযোগ্য হবে।
উপরন্তু, অভিশংসক নির্ধারণ করেছেন যে, অপরাধের গুরুত্ব ও শিকারদের স্বার্থ বিবেচনা করলে, তদন্ত আরম্ভ করা ন্যায়বিচারের স্বার্থ রক্ষা করবে না এরূপ বিশ্বাস করার প্রকৃত কারণ নাই।
অভিশংসকের অনুরোধ মঞ্জুর করা হলে, তাঁর অফিসের তদন্তাধীন অন্যান্য পরিস্থিতিগুলির মত, স্বতন্ত্রভাবে ও নিরপেক্ষভাবে আদালতের প্রতিষ্ঠা সংবিধির অধীনে আমাদের কঠোর সেবার আদেশ এবং সংবিধিতে সন্নিবিষ্ট পরিপূরকতার নীতি অনুযায়ী উক্ত কাজের দায়িত্বভার গ্রহণ করা হবে।
আজ, প্রজোয্য আইন মোতাবেক, অভিশংসক বাংলাদেশ/মিয়ানমার পরিস্থিতির তদন্ত শুরু করা অনুমোদনের জন্য তাঁর অনুরোধ করার ইচ্ছা শিকারদেরকে বা তাঁদের আইনি প্রতিনিধিদেরকেও জানিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে তাঁরা তাঁর অনুরোধের উপর প্রি-ট্রায়াল চেম্বার 3 এর বিচারকদের কাছে ২৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত তাঁদের প্রতিনিধিত্ব দাখিল করতে পারেন।
আইসিসির অভিশংসকের অফিস স্বতন্ত্র এবং নিরপেক্ষ প্রাথমিক পরীক্ষা, গণহত্যা অপরাধের, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের, যুদ্ধাপরাধের এবং আগ্রাসন অপরাধের তদন্ত ও মামলা রুজু পরিচালনা করে। ২০০৩ সাল হতে, এই অফিস আইসিসির এক্তিয়ারভুক্ত বহু পরিস্থিতির তদন্ত পরিচালনা করছে, যেমন উগাণ্ডায়; ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে; সুদানের ডারফুরে; সেণ্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে (দুইটি স্বতন্ত্র পরিস্থিতি); কেনিয়াতে; লিবিয়াতে; কোট ডি'ভোরে; জর্জিয়াতে ও বুরুণ্ডিতে। অফিস বর্তমানে আরো কলম্বিয়ার পরিস্থিতির সঙ্গে; গিনিতে; ইরাক/যুক্তরাজ্যে; ফিলিস্তিনে; ফিলিপিন্সে; নাইজেরিয়ায়; উকরেইনে, এবং ভেনিজুয়েলায় জড়িত বিষয়ের প্রাথমিক পরীক্ষা পরিচালনা করছে।
ধারা ১৫ অনুসারে তদন্তের অনুমোদন চেয়ে অভিশংসকের অনুরোধ (পূর্ণ ভাষ্য);
ধারা ১৫ অনুসারে তদন্তের অনুমোদন চেয়ে অভিশংসকের অনুরোধের সারাংশ;
বাংলাদেশ/মিয়ানমার পরিস্থিতির প্রসঙ্গে সংঘটিত হিংস্রতার শিকারদের প্রতি আইসিসির অভিশংসকের গণবিজ্ঞপ্তি।
সূত্রঃ অভিশংসকের অফিস । [email protected]
Audio and Video
-
Press release
- YouTube (for viewing)
- Video (MPEG-4) for download
- Audio (MPEG-3) for download